বাংলাদেশে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ অপ্রত্যাশিত বিপর্যয় বা অসুস্থতায় আবারও দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও বৈষম্য মূল্যায়ন ২০২৫’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এলেও ২০১৬ সালের পর দারিদ্র্য কমার গতি কমে গেছে এবং আয়বৈষম্য বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদনশীল খাতে কর্মসংস্থান স্থবির হয়ে পড়ায় নারী ও তরুণেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতি পাঁচজন নারীর একজন বেকার এবং প্রায় অর্ধেক তরুণ কম মজুরিতে কাজ করছেন। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন দারিদ্র্য কমাতে সহায়ক হলেও বিদেশ যাত্রার উচ্চ ব্যয় অনেককে পিছিয়ে রাখছে। সামাজিক সুরক্ষায়ও লক্ষ্যভিত্তিক দুর্বলতা রয়েছে—ধনী পরিবারের ৩৫ শতাংশ সুবিধা পেলেও অতি দরিদ্রদের অর্ধেক তা পান না।
বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে চারটি মূল করণীয় উল্লেখ করেছে—উৎপাদনশীল খাতে কর্মসংস্থান বাড়ানো, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ তৈরি, বাজারবান্ধব নীতি গ্রহণ এবং লক্ষ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা।
