মায়ের সংকটময় অবস্থায় দেশে ফেরার ‘একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংকটময় অবস্থায় দেশে ফেরার বিষয়ে নিজের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশে ফেরা তাঁর ‘একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় নয়’ এবং রাজনৈতিক বাস্তবতাই এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা।

শনিবার সকালে ফেসবুক পোস্টে তারেক জানান, মায়ের পাশে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ তাঁর হাতে নেই। তিনি দেশের মানুষের দোয়া ও প্রধান উপদেষ্টার চিকিৎসাসহায়তার ঘোষণার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা তাঁর অবস্থাকে সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন। দেশি–বিদেশি চিকিৎসক দল তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা বাড়ায় পরিবার ও দলের শীর্ষ নেতাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফুসফুসে সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া ধরা পড়ার পর তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিনের কিডনি, লিভার, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের জটিলতা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে।

চিকিৎসকেরা জানান, গত দুই দিনে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিদেশ নেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় রয়েছে। বিএনপি দেশব্যাপী দোয়া কর্মসূচি পালন করছে, আর পরিবারের সদস্যরাও নিয়মিত চিকিৎসার অগ্রগতি জানছেন।

দলের শীর্ষ নেতারা গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। খালেদা জিয়া রোববার জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর এই সংকটাপন্ন অবস্থায় দলসহ সর্বস্তরে উদ্বেগ বেড়েছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটময় জানালেন মির্জা ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়ার অবস্থা গতকাল রাতে চিকিৎসকেরা ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলেছেন।

আজ শুক্রবার নয়াপল্টন জামে মসজিদে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ফখরুল জানান, সারা দেশে মসজিদে দোয়া আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেন।

দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে রোববার তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা

দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও শ্রীলঙ্কা উপকূলে থাকা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে এ সিস্টেমটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঝড়ো আবহাওয়ার আশঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম থেকে ২০৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল এবং কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল। সাগর উত্তাল থাকায় সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘দিতওয়া’, যা ইয়েমেনের প্রস্তাবিত নাম এবং সোকোত্রা দ্বীপের একটি লেগুনের নাম অনুসারে রাখা হয়েছে।

গিনি-বিসাউয়ে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট এমবালোসহ শীর্ষ নেতারা আটক

আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ে নির্বাচনের পরপরই সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানী বিসাউয়ে গুলির শব্দ শোনা যাওয়ার পর সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে—প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে আটক করা হয়েছে। সামরিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় টিভিতে হাজির হয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিতের কথা জানান এবং সীমান্ত বন্ধসহ রাতের কারফিউ জারি করেন।

সামরিক কর্মকর্তারা বলেন, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা নস্যাতে তারা এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন, যদিও সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিরোধী প্রার্থী ফার্নান্দো দিয়াজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দোমিঙ্গোজ পেরেইরা এবং সেনাপ্রধান জেনারেল বিয়াগে না নতানসহ একাধিক ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই এমবালো ও দিয়াজ নিজেদের জয়ী দাবি করেছিলেন। অভ্যুত্থানের ঘটনায় আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইকোওয়াস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন তারা দুই প্রার্থীর কাছ থেকে ফল মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন।

Scroll to Top